হাত টা দাও ভালোবাসা নাও

হাত টা দাও ভালোবাসা নাও

 হাত টা দাও ভালোবাসা নাও


হাত টা দাও ভালোবাসা নাও
হাত টা দাও ভালোবাসা নাও




হাত টা দাও তো" বলেই ইরার আঙ্গুলের মাঝে আকাশের আঙ্গুল গুলো রাখলো । ইরার হাতগুলো ছিল বরফের মতো ঠাণ্ডা ।
কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলো ইরা । লজ্জ্বায় কোন কথাই বলতে পারছিল না ।
আকাশ কয়েক বার জিজ্ঞেস করল "তারপর ? তারপর কি করলা ক্লাসে ?" কিন্তু ইরা "হুম্ম" ছাড়া আর কোন শব্দই উচ্চারণ করতে পারছিল না । দুজনই চুপ ।




আকাশ যতটুক সম্ভব শক্ত করে হাতটা ধরে রেখেছিল যেন আর কখনোই ছাড়বে না ওই হাত ।
ঠিক তখনই ইরা বলে উঠলো "আকাশ আমি যাই ? পড়া শুরু হয়ে যাবে" । আকাশ মনে মনে অনেক কষ্ট পেল ।

ছেলেদের অভিমান করতে নেই । তাও আকাশ অভিমানের সুরে বলল " আজকে যাওয়া লাগবে না আমি হাত ছাড়তে পারবো না" ।

কিন্তু ইরা জোড় করল তার যেতে হবে । আকাশ তখন বাহানা খুজতে লাগল কিসের ওজুহাত এ ইরাকে আটকানো যায় না ।

" দেখো কত্তো ঠাণ্ডা আজকে, আমি হাত ধরে না রাখলে তোমার হাত জমে যাবে । চুপ চাপ বসে থাকো ।" আকাশের কথা শুনে ইরা একটু হাসলো ।

ইরার ও একদম ইচ্ছা করছিল না যেতে । "কিন্তু স্যার যদি বাসায় ফোন দেয়..........." ভয়ার্ত মুখে বলল ইরা ।

এবার আকাশের অভিমান রাগে পরিণত হলো । হাত টা ছেড়ে দিয়ে বলল "তুমি প্রতিদিন চলে যাও , কি হয় একটু থাকলে !!

" আকাশ এবং ইরা দুজনেই জানে , ইরার পরিবার যদি সামান্য কিছু ও টের পায় ওদের ব্যাপারে তাহলে ইরার অনেক সমস্যা হয়ে যাবে ।

তাই খুব সাবধানে থাকে ওরা । ইরার চোখে জল আসতে চায় কিন্তু ও আকাশের সামনে কাদবে না ।

মাথা নিচু করে একদম আস্তে বলল " আমার ওপর রাগ করো না আকাশ " । আকাশ শুধু বলল " স্যার এর বিল্ডিং পর্যন্ত হাত ধরে থাকতে হবে ।

" এবার ইরা একটু হেসে নিজেই আকাশের হাত ধরলো । আগের চেয়ে শক্ত করে ।

কোন এক কুয়াশা ঘেরা শীতের সকালে প্রথম বার ওরা হাত ধরেছিল । তারপর থেকে যতবার ওরা দেখা করেছে একজন আরেকজনের হাত ধরেই রেখেছে ।

এমন কি ওদের ঝগড়া করতে ও দেখা যেত একজন আরেকজনের হাত ধরে ।

আজ ১০ বছর পরেও কেউ কারো হাত ছাড়েনি ।

Post a Comment

0 Comments