ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প

ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প

 ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প

ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প
ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প




ভালোবাসার ক্ষমতা গল্প হ্যালােঃ অনিক তুমি কোথায়।
-এইতাে বার্ড আসছি জ্যামে আটকা পড়ে আছি ,কিছুক্ষন
এর ভিতরেই চলে আসবাে ।তুমি একটু বসে থাকো?
জলদি আসাে আমি কখন থেকে বসে আছি তােমার
অপেক্ষায়।এইতাে বার্ড আসছি।


আসতে অনেক দেরি হয়ে গেলাে গিয়ে দেখি নাবিলা মন
খারাপ করে বসে আছে।
আমাকে দেখে অন্য দিকে মুখ ঘুরে নিলাে এই মেরেছে
এইবার তাের বার্ড রেগে গেছে ।সরি বার্ড আর লেট হবে
নাহ রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলাে এইজন্য আসতে অনেক
লেট হয়ে গেলাে প্লিজ রাগ করে না আমার বার্ড এই দেখাে
আমি কান ধরছি আর লেট হবে (মেয়েটি অনেকে জেদি)
ওওও বার্ড কি হলাে কথা বলবা নাহ কথা না বললে আমি
কিন্তু চলে যাবাে । চলেই যাচ্ছিলাম পিছন থেকে আমাকে
হাত টা টেনে ধরলাে ?

-কি হলাে আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছাে কেনাে।-তুমি
আমার সাথে কথা বলাে না কেনাে সত্যি রাস্তায় অনেক
জ্যাম ছিলাে সরি। ইটস ওকে আই লাভ ইউ বেবি।
-আই লাভ ইউ টু বার্ড (নাবিলা আমাকে বেবি বলে ডাকে
আর আমি ওকে বার্ড বলে ডাকি )চলাে ফুসকা খেয়ে আসি

ওকে চলাে ফুসকা আমার খুব প্রিয়। তােমার
প্রিয় জন্যই তাে তােমাকে খাওয়াতে চাচ্ছি। ওহ তাই
নাকি তুমি জানলা কেমনে ফুসকা আমার প্রিয়। কিছু
কিছু মেয়েদের ফুসকা প্রিয় সেটা আমি জানি

-কিছু কিছু মেয়ে মানে তুমি জানলা কেমনে মেয়েদের
ফুসকা প্রিয়। -হুম জানি এতাে কথা না বলে চলাে ফুসকা
খেতে যাই। _ওকে চলাে।
ফুসকা খেতে খেতে আমরা অনেক কথাই বলি আমাদের
কথার যেনাে শেষ নেই।
আমাদের ভালােবাসার পথে বাধা হওয়ার মত দুইজন
লােক আছে আর সেই দুইজন লােক হলাে আমার আব্দু
আর নাবিলার আব্ব এরা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাে কেনাে যে
এদের বন্ধুত্ব নষ্ট হলাে তা আজ ও জানতে পারলাম না।
বা বুঝতে পারলাম না বা জানার আগ্রহ ছিলাে কিন্তু
বলি বলি করে আর বলা হয়ে ওঠে নাই। নাবিলাদের বাসা

আর আমাদের বাসা পাশাপাশি। প্রথম দেখাতেই নাবিলার
ওপর ক্রাশ খেয়েছিলাম। মায়াময়ী চেহারা হাসলে যেনাে
আকাশের তারা ঝরে।আমি ওর হাসিমাখা মুখটা দেখার
জন্য ওদের বাসার ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম কারন
বিকালে ছাদে আসে নাবিলা।
একদিন সাহস করে নাবিলাকে প্রপােজ করে বসি কিন্তু
সেইদিন আর নাবিলা আমাকে কিছু না বলে চলে যায়
। একদিন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে বন্ধুদের সাথে কথা
বলছিলাম ,হঠাৎ লক্ষ্য করলাম নাবিলা কোচিং এ যাচ্ছে।
নাবিলার সামনে গিয়ে জিগাইলাম কি হলাে আমার কথার
উত্তর টা তাে দিলা নাহ। কোনাে কথা না বলে নাবিলা চলে
গেলাে ।
আমি মন খারাপ করে চলে এলাম বাসায় পরের দিন
বন্ধুদের সাথে শপিং করতে গিয়ে দেখি নাবিলাও শপিং
করতে এসেছে আমাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি উপহার
দিলাে ।আমি এই হাসি টা দেখার জন্য ই তাে আছি।

আমি মন খারাপ করে চলে এলাম বাসায়।পরের দিন
বন্ধুদের সাথে শপিং করতে গিয়ে দেখি নাবিলাও শপিং
করতে এসেছে আমাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি উপহার
দিলাে ।আমি এই হাসি টা দেখার জন্য ই তাে আছি ।
অবশেষে ওর কাছে গিয়ে দাড়াইলাম কি হলাে আমার
উত্তর দিলা নাহ। কিসের উত্তর।
-সেইটা তুমি খুব ভালাে করেই জানাে কিসের উত্তর।
আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি। ইয়াহু আমি অনেক খুশি
ঠিক এই ভাবে আমাদের প্রেম হয়।
-আচ্ছা বার্ড তােমার আর আমার আব্দুর অভিমান টা
কিভাবে ভাঙ্গানাে যায়। কি আর বলবাে বেবি ,কেনাে যে
তারা তাদের ফ্রেন্ডশীপ টা নষ্ট করলাে।_বার্ড আমি একটা
বুদ্ধি পেয়েছি।
কি বুদ্ধি বেবি।চলাে আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে
করি পরে তােমার আর আমার ফ্যামিলি মেনে নিলেই
তাদের বন্ধুত্ব আবার ফিরে আনা সম্ভব হবে। যদি মেনে
নেয় কি হবে ।
আরে মেনে না নেওয়ার কি আছে মানতেই হবে ,তুমি
দেখে নিয়াে। আমার কিছু বন্ধুর সহায়তায় আর নাবিলার
কিছু বান্ধবির সহায়তায় অবশেষে আমাদের বিবাহ সম্পুর্ন
হলাে।
এবার পালা বাসাতে নিয়ে আম্মুকে দেখানাে আর আব্দু
কে বিয়ের কথা টা বলা ।সব সময় আম্মুর সার্পোট পেয়েছি
কিন্তু আব্দুর পাই নাই।

অবশেষে আব্দুকে ভয়ে ভয়ে বললাম যে আমরা কাজী
অফিসে বিয়ে করে আসছি এখন আপনি কি বলেন
| আব্লু বললেনঃচিনি না জানি না যাকে তাকে বিয়ে
করলেই হয় এই মেয়ের পরিচয় কি থাকে কোথায়।
আমিঃআমাদের পাশের বাসার আব্বাস আংকেলের মেয়ে
(এখন শশুড় মসাই)। আব্দুঃ কি বললি তুই আমার শত্রুর
মেয়েকে তুই বিয়ে করিস ,আমি কখন ওই মেনে নেবাে নাহ
|আমিঃআব্ব দেখেন আপনার আর আব্বাস আংকেলের
কি নিয়ে বিরােধীতা তা জানি নাহ আর জানতেও চাই
নাহ ,আর আমাদের বিবাহ না মেনে নিলে আমরা বাড়ি
থেকে চলে গেলাম। আব্দুঃ তুই আমার একটা মাত্র ছেলে
আর তুই এই কথা বলতে পারলি ,এই মেয়ের জন্য তুই
আমাদের ছেড়ে চলে যাবি।

আমিঃহুম চলে যাবাে। আব্বঃওকে আমি রাজি এই
মেয়ের আব্দুর সাথে কথা বলে আমাকে জানা। এই আব্দু
কে আর আম্মুকে সালাম করাে। নাবিলার আব্বকে ও
একই কথা বলতে বললাম নাবিলা কে।
নাবিলার আব্দু ও রাজি হয়ে গেলাে তাদের বন্ধুত্ব আবার
নতুন করে শুরু হলাে নতুন করে বিয়ের আয়ােজন করা
হলাে লােকজন কে দাওয়াত দিয়ে ধুমধাম ভাবেই বিবাহ
সম্পুর্ন হলাে আমাদের শুরু হলাে নতুন সংসার।
বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ন কাল্পনিক ।

রোমান্টিক মিষ্টি প্রেমের একটি ভালোবাসার গল্প   এখানে ক্লিক করুন

Post a Comment

0 Comments